স্বদেশ ডেস্ক:
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ান নিয়ে সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারদ চড়া ছিল। গত মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। ক্ষমতাধর দুই দেশের প্রধানই চড়া সুরে কথা বলেছেন এমনকি পরস্পরকে হুমকিও দিয়েছেন। বাইডেনকে ‘আগুন নিয়ে খেলতে’ না করেছেন শি জিন পিং। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাইওয়ান ইস্যুতে বেশ কৌশলী ভূমিকা নিয়েছেনÑ যা অনেকটা সাপ মরবে কিন্তু লাঠি ভাঙবে না নীতি।
প্রসঙ্গত তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত ও গণতান্ত্রিক অঞ্চল মনে করলেও চীন এটিকে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ মনে করে। এমনকি যে কোনো সময় প্রয়োজনে মূল ভূখ-ের সঙ্গে একীভূত করার হুমকি দিয়ে থাকে।
বাইডেন-শি ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন বলেছেন আমরা কোনোভাবেই আমাদের নীতি পরিবর্তন করব না। স্বাধীনতার ব্যাপারে তাইওয়ানকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা নেব না। স্বাধীনতার ব্যাপারে উৎসাহও দেব না। তবে তাওয়ান চুক্তি মেনে চলার ব্যাপারে আমরা বলতে পারি।
১৯৭৯ সালের তাইওয়ান চুক্তি বা ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী কূটনীতিক সম্পর্কের দিক থেকে বেইজিংকে গুরুত্ব দেবে ওয়াশিংটন। এর পরিবর্তে চীন তাইওয়ানে অস্থিরতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু সম্প্রতি পটপরিবর্তন হয়েছে। চীনের যুদ্ধবিমান প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই বলছেন, তারা তাইওয়ানের পক্ষে অবস্থান নেবে।